তাফসীর কি মিথ্যা হতে পারে?
লেখক : আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ
প্রকাশনী : তুবা পাবলিকেশন
বিষয় : কুরআন বিষয়ক আলোচনা
৳১৪০.০০
Sharing is caring, show love and share the product with your friends.
আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ
চেয়ারম্যান, নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন
পরিচালক, আল-জামি\'আহ আস-সালাফিয়্যাহ নারায়ণগঞ্জ ও রাজশাহী ।
জন্মঃ শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের দেবীনগর উপজেলার অধীন মাওলা বক্স হাজীরটোলা গ্রামে এক ধার্মিক পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। পড়াশোনাঃ এলাকার মক্তবে শিক্ষা জীবনের হাতে খড়ি হওয়ার পর তিনি নাচোল চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাদরাসা থেকে হাদীসের অন্যতম কিতাব মিশকাত শরীফ পর্যন্ত পড়েন। তারপর উচ্চ শিক্ষার আশায় ভারত গমন করেন এবং উত্তর প্রদেশের দারুল উলুম মউনাথভাঞ্জান থেকে দাওরা হাদীস শেষ করেন। তিনি দুই বার দাওরা হাদীস শেষ করেছেন। তারপর দেশে ফিরে কর্ম জীবনের পাশাপাশি ফাজিল ও কামিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। তিনি হাদীস ও তাফসীরনিয়ে ১ম বিভাগে কামিল পাশ করেন।
আর তিনি সারা দেশে ইসলামী শিক্ষাকে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি মানসম্মত প্রতিষ্ঠান গড়ার কাজ করে যাচ্ছেন।
\"তাফসীর কি মিথ্যা হতে পারে?\" বইয়ের ভূমিকাঃ
বর্তমানে কোন কোন বক্তার বক্তৃতার অনেক অংশই কুরআন ও ছহীহ হাদীছের সাথে সাংঘর্ষিক। কারণ তারা তদন্ত ছাড়াই শরীআতের বিভিন্ন বিষয় প্রচার করেন। আমার জানা মতে, শতকরা ৯৫ জন বক্তা যাচাই-বাছাই ছাড়া বক্তৃতা করেন। এ ধরনের প্রচারে বড় ধরনের দু\'টি ক্ষতি রয়েছে।
(১) এতে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের নামে মিথ্যা প্রচার হচ্ছে, যাতে জনগণ সঠিক ধর্ম থেকে বিচ্যুত হচ্ছে
(২) এমন বক্তার পরকাল বড় ভয়াবহ। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি আমার উপর মিথ্যারোপ করে, তার পরিণাম
জাহান্নাম\' (বুখারী, মিশকাত হা/১৮৯)।
এ দেশের তাফসীর মাহফিলে যারা তাফসীর করছেন, তাদের শতকরা ৯৮ জনই মুফাসসির নন। কারণ তাফসীর করার জন্য অনেক ধরনের বিদ্যার প্রয়োজন।
সাথে সাথে তাহকীক করে তাফসীর করা যরূরী। কারণ তাফসীর গ্রন্থগুলি জাল ও যঈফ হাদীছ এবং বানওরটি কাহিনী দ্বারা পরিপূর্ণ। এ থেকে সকলের সতর্ক
থাকা উচিৎ। কেননা এতে যেমন দ্বীনের ক্ষতি হয়, তেমনি বক্তা ও শ্রোতার পরকাল ধ্বংস হয়। তাই বহুদিন থেকে ভাবছিলাম যে, জনগণকে মিথ্যা তাফসীর
সম্পর্কে সচেতন করার জন্য একটি বই লিখব। কিন্তু অত্যন্ত ব্যস্ততার দরুণ তা এতদিন সম্ভব হয়ে উঠেনি। অবশেষে মহান আল্লাহর ইচ্ছায় তাবলীগী ইজতেমা
২০০৯-কে সামনে রেখে বইটি প্রকাশিত হল - ফালিল্লাহিল হামদ।
বইটিতে \"তাফসীর কি মিথ্যা হতে পারে?\" এই প্রশ্নের মাধ্যমে মূলত মিথ্যা তাফসীর পেশ করা হয়েছে। এর দ্বারা আমরা জনগণকে মিথ্যা তাফসীর সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। কেননা কুরআনের তাফসীর শোনা ও পড়ার নামে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মিথ্যা তাফসীর শুনে ও পড়ে, যার পর নেই বিভ্রান্ত হচ্ছে। ফলে ইসলামের আসল রূপ তাদের থেকে বিদায় নিচ্ছে। এহেন অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
Related Products
মরণ একদিন আসবেই
৳১৫০.০০
পোশাক
৳৭৫.০০
কে বড় ক্ষতিগ্রস্ত?
৳১৭০.০০
তাওযীহুল কুরআন ৩০ তম পারা
৳৩৮০.০০
আইনে রাসূল (ছাঃ) দু‘আ অধ্যায়
৳১৪০.০০
বক্তা ও শ্রোতার পরিচয়
৳৮০.০০
কে বড় লাভবান?
৳১৫০.০০
হজ্জ ও উমরা
৳৯০.০০
তাওযীহুল কুরআন ২৯ তম পারা
৳২৩০.০০
উপদেশ
৳২৮০.০০