Please add item to the cart first

শিক্ষা বনাম জাহিলিয়াত

লেখক : উম্মে মারিয়াম রাযিয়া বিনতে আযীযুর রহমান

প্রকাশনী : তুবা পাবলিকেশন

বিষয় : ইসলামি গবেষণা, প্রবন্ধ ও সমালোচনা

৳৯০.০০

Sharing is caring, show love and share the product with your friends.



লেখক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ

উম্মে মারিয়াম রাবিয়া বিনতে আযীযুর রহমান

প্রধান শিক্ষিকা, আল জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ মাদরাসা (বালিকা শাখা), ডাঙ্গীপাড়া, পবা, রাজশাহী

এই বই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ

ভূমিকা

শিক্ষা দেশ ও জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষার মাধ্যমে জাতি তৈরি হয়। জাতির রাজনৈতিক ও মানসিক পরিচয় তৈরি হয়। জাতির স্বাধীন সত্তা টিকে থাকে তার শিক্ষার মধ্যে। বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ। এই দেশের সমাজ ও সংস্কৃতির সাথে ইসলাম মিশে আছে মানব শরীরে রক্ত-মাংস মিশে থাকার মতো। এই দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসও তার মুসলিম সত্তার পরিচয় বহন করে। ইখতিয়ারুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খিলজী থেকে শুরু করে পলাশীর আম্রকাননে স্বাধীন বাংলার সূর্য অস্তমিত হওয়া পর্যন্ত সুদীর্ঘ ছয়শ বছর এই দেশের রয়েছে নিজস্ব রাজনৈতিক পরিচয় ও ইতিহাস। ব্রিটিশ বেনিয়াদের হাত থেকে স্বাধীনতা উদ্ধারের জন্য ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত রয়েছে সুদীর্ঘ স্বাধীনতার সংগ্রাম ইতিহাস। ঢাকার রাজধানী পরিচয়ের সাথে জড়িয়ে আছে মুসলিম মুঘল আমলের ইতিহাস। সব মিলিয়ে এই দেশের শিক্ষানীতি ও সিলেবাসে মুসলিম বাংলার সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিচয় ফুটে উঠবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য হচ্ছে, ঘটেছে তার সম্পূর্ণ বিপরীত। অতীতের সিলেবাসে থাকা সুন্দর শিক্ষণীয় সাহিত্যনির্ভর গল্প ও কবিতা উঠিয়ে দিয়ে বইগুলোকে পূর্ণ করা হয়েছে হিন্দুয়ানী গল্প ও কবিতায়। যা দেখে মনে হবে আমরা বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক পড়ছি না বরং ভারতের পাঠ্যপুস্তক পড়ছি। যেমনভাবে সকল বইয়ে যে সব মানুষের নাম ব্যবহৃত হয়েছে একটি মুসলিম দেশে সেগুলি নিতান্তই আপত্তিকর। যেমন- অনিকা, মিনা, লিটল র্যাড, প্লাবন, রতন, মেধা, দীপক, স্কট, রূপা, নন্দিনী, এস্তি, মিসেল, মিতা, রণ, শেলী, নিনা, জয়া, সুবর্ণা, রায়, মনিকা চাকমা, রিনা গোমেজ, রাতুল, রমা, রবিন, শিশির, ডেভিড, প্রিয়াঙ্কা, অরবিন্দু চাকমা, মন্দিরা, শিশু, মিলি, সুনীল, মিনু চিনুক, ইত্যাদি নামে সকল বই পরিপূর্ণ। মুসলিম নামের কোনো অস্তিত্ব রাখা হয়না। অতীতকাল থেকে বাংলাদেরশের মানুষ খালা, ফুফু, ভাই, পানি ইত্যাদি বলে অভ্যস্ত আর কলকাতার হিন্দুরা পিসি, মাসি, দাদা ও জল বলে অভ্যন্ত আমাদের পাঠ্যপুস্তকে জোরপূর্বক বাংলাদেশী শব্দগুলো উঠিয়ে দিয়ে কলকাতার শব্দ প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হয়েছে। মাদ্রাসার পাঠ্যপুস্তক থেকে টুপি, পায়জামা, হিজাব ও সালামকে বিদায় করা হয়েছে।

পাঠ্যপুস্তকে সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী এমন অসংখ্য পরিবর্তন দেখে আমাদের ছোটবেলায় পড়া বইগুলোর কথা মনে পড়ে যায়। কত সুন্দর শিক্ষাণীয় ছিল সেই বইগুলো! মনের সেই কষ্ট ও বেদনা থেকে পরবর্তী প্রজন্ম কী শিখবে ও কী শিখছে সেই দুশ্চিন্তা থেকে এবং বাংলাদেশী হিসেবে নিজের একটা দায়িত্ববোধ থেকেই মূলত এই বইটি লেখার চিন্তা মাথায় আসে।

উক্ত বইয়ে বিস্তারিতভাবে পাঠ্যবইয়ের বিভিন্ন জাহিলিয়াত উল্লেখ করা হয়েছে। যা কখনোই শিক্ষা হতে পারে না। আমি মনে করি উক্ত বইটি প্রতিটি ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকের পড়া উচিত। যাতে করে তারা অন্তত জানতে পারে যে, কী ধরনের জঘন্য ইসলাম বিদ্বেষী জাহিলিয়াত শিক্ষার নামে তারা শিখছে ও শিখাচ্ছে। জানার মাধ্যমে যে সচেতনতা তৈরি হবে সেই সচেতনতাই হয়তো একদিন পরিবর্তন নিয়ে আসবে। আমাদের সন্তানেরা ফিরে পাবে আদর্শ ও সুশিক্ষার সিলেবাস, মানুষ গড়ার পাঠ্যপুস্তক। মহান আল্লাহর নিকটে এটাই আমাদের একমাত্র কামনা।

বইটির সূচিপত্রের কিছু অংশ :

  • রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম চির বহাল থাক
  • শিক্ষার গুরুত
  • শিক্ষা কি ও কেন?
  • শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য
  • শিক্ষিত ও অশিক্ষিতের মধ্যে পার্থক্য
  • শিক্ষিত বনাম জাহেল
  • প্রকৃত শিক্ষা কি? এবং কারা শিক্ষিত?
  • শিক্ষানীতি
  • আরেকটি কুটচাল
  • বিভিন্ন শিক্ষানীতি
  • জাতীয় শিক্ষানীতি
  • জাতিয় শিক্ষানীতি ২০১০