কুরআনের ধারক-বাহকদের চরিত্র কেমন হওয়া উচিত?
লেখক : আল-ইতিছাম গবেষণা পর্যদ
প্রকাশনী : মাকতাবাতুস সালাফ
বিষয় : আল-ইতিছাম গবেষণা পর্ষদ
৳৭০.০০
Sharing is caring, show love and share the product with your friends.
সংক্ষেপণ: ড. খালিদ ইবনু উছমান আস-সাবত (হাফিযাহুল্লাহ)
ভাষান্তর: আল-ইতিছাম গবেষণা পর্ষদ
সম্পাদনা: শায়খ আব্দুল আলীম ইবনে কাওছার মাদানী
প্রকাশকের কথা
আল কুরআন হলো মহান আল্লাহর কালাম, সৃষ্টি নয়। কুরআন তার কাছ থেকেই অবতীর্ণ হয়েছে। তার কাছেই ফিরে যাবে। কুরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার কারণে পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় বরকতের উৎস কুরআন। কুরআনের বরকতেই মুহাম্মাদ (স) সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, রমাযান সর্বশ্রেষ্ঠ মাস, লাইলাতুল কদর সর্বশ্রেষ্ঠ রাত, উম্মাতে মুহাম্মাদী সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মাত। কুরআনের এই মুজিযাই মুহাম্মাদ (স) ও তার আনীত দ্বীনের সভ্যতার প্রমাণ।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজ মুসলিম উম্মাহ কুরআন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এবং পরিকল্পিতভাবে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের মতো মুসলিম দেশের জাতীয় কারিকুলামে কুরআন শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা নাই। পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায় কর্মস্থলে কুরআন জানা লোকের তেমন কোনো প্রয়োজন রাখা হচ্ছে না। ফলে ব্যক্তিগতভাবে কুরআন শেখা কিংবা জানা-বুঝার আগ্রহও হারিয়ে যাচ্ছে। কোমলমতি শিশুরা সাতসকালে বিদ্যার ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ছুটছে কিন্ডারগার্টেন-কোচিং সেন্টারের দিকে। ফলে শিশু-কিশোরদের কায়েদা- কুরআন হাতে মক্তবে যাওয়ার সেই চিরচেনা দৃশ্য আজ অচেনা হয়ে যাচ্ছে। আধুনিক ডিজাইনে সুসজ্জিত মসজিদের তালাবদ্ধ বারান্দা থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কুরআন শেখার হাতেখড়ির সূতিকাগার মক্তবগুলো। ফলত নতুন প্রজন্ম বড় হচ্ছে কুরআন বিহীন অবস্থায়। কুরআনের সংস্পর্শ ছাড়াই। যা ভবিষ্যৎ দেশ ও জাতির জন্য ভয়াবহ অশনি সংকেত।
দেশ ও জাতির কুরআন কেন্দ্রিক এই ভয়াবহ সংকট মোকাবেলায় নতুন প্রজন্মকে কুরআনমুখী করতে আদ-দাওয়াহ ইলাল্লাহ\' ও \'উসমান বিন আফফান এল কুরআন গবেষণা কেন্দ্র\' যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেই কাজের ধারাবাহিকতায় এই বইটির অনুবাদ সম্পন্ন হলো- আলহামদুলিল্লাহ।
উক্ত বইয়ের সম্মানিত লেখক আবু বকর আল আজুর্রী ২৮০ হিজরীতে জন্ম নেওয়া একজন বিখ্যাত মুহাদ্দিছ। তিনি ইমাম আবু দাউদের ছাত্রদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছাত্র ছিলেন। তার লিখিত এই গ্রন্থটির কলেবর বেশ বড় ছিল। পাঠকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে বইটিকে সংক্ষিপ্ত করেছেন খালিদ বিন উছমান হাফিযাহুল্লাহ। তার লিখিত আরো একটি বই ইলমী মহলে অনেক বেশি সমাদৃত। সেটি হলো আকীদার জগতে সবচেয়ে পুরাতন গ্রন্থগুলোর একটি আশ-শারীআহ\"।
আল কুরআনের খেদমতে সামান্য অগ্রসর হওয়ার এই তাওফীক পেয়ে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। তাঁর নিকট দুআ করছি- এই বইয়ের লেখক, অনুবাদক ও সম্পাদকসহ বইটি প্রকাশ পর্যন্ত যারা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। সেইসাথে এই বইকে উত্তরোত্তর কবুলিয়াত দান করুন। আমীন!