অমনোযোগী পুত্রের প্রতি সন্তানবৎসল এক পিতার হৃদয় নিংড়ানো উপদেশ
লেখক : মূল: আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী (রহ)
প্রকাশনী : মাকতাবাতুস সালাফ
বিষয় : নসীহা/উপদেশ মূলক
৳৩০.০০
Sharing is caring, show love and share the product with your friends.
মূল : আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী (রহ)
ভাষান্তরে : আবু আব্দুর রউফ আব্দুল কাদের বিন রঈসুদ্দীন
শিক্ষক, আল-জামি\'আহ আস-সালাফিয়্যাহ, ডাঙ্গীপাড়া, রাজশাহী
সম্পাদনায় : আল-ইতিছাম গবেষণা পর্ষদ
ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য। যিনি আদি পিতা হযরত আদম (আঃ)-কে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছে। আর সন্তনদের সৃষ্টি করেছেন পাজর ও মেরুলদের হাড় থেকে। আত্মীয়তা ও বংশের মাধ্যমে গোত্রকে শক্তিশালী করেছেন। জ্ঞান ও সঠিক বুঝের মাধ্যমে তিনি আমার উপর অনুগ্রহ করেছেন। শৈশবে আমার সুন্দর লালনপালনের ব্যবস্থা করে নিয়েছেন। যৌবনে আমাকে রক্ষা করেছেন। আমাকে সন্তান দান করেছেন, যাদের মাধ্যমে আমি পূর্ণ ছওয়াবের আশা রাখি। \'হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে এবং আমার বংশধরকে ছালাত প্রতিষ্ঠাকারী বানান। হে আমাদের প্রতি আপনি আমার দোআ কবুল করে নিন। হে আমার প্রতিপালক। যেদিন হিসাব হবে সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং মুমিনদেরকে ক্ষমা করুন (সূরা ইবরাহীম ১৪/৪০-৪১)
এরপর যখন আমি বিবাহ ও সন্তানাদির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারলাম, তখন আমি এক খতম কুরআন পড়ে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলাম যে, তিনি যেন আমাকে ১০টি সন্তান দান করেন। আমার দু\'আ তিনি কবুল করে আমাকে ১০টি সন্তান দান করলেন। পাঁচটি পুত্র ও পাঁচটি কন্যা সন্তান মধ্যে দুই কন্যা ও চার পুত্রকে আল্লাহ নিজের কাছে নিয়ে গেলেন। পুত্রদের মধ্যে রইল কেবল আবুল কাসেম। আল্লাহর কাছে আমি কাকুতিমিনতি করে চাইলাম যে, তিনি যেন আমার এই সন্তানকে সৎ উত্তরসূরী হিসাবে কবুল করেন এবং তার মাধ্যমে আমার মনবাঞ্ছনা পূরণ করেন।
কিছুদিন পর আমি তার পড়াশুনায় কিছুটা অলসতা অনুভব করলাম। তাই এই পত্রখানা লিখে জ্ঞানার্জনের প্রতি তার উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়াতে চেয়েছি এবং জ্ঞানার্জনে আমার পথ ও পদ্ধতি অবলম্বনের জন্য অনুপ্রেরণা দিয়েছি। সর্বোপরি তাকে আমি তাওফীকদাতা আল্লাহ তাআলার দরবারে আশ্রয় গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছি। কারণ আমি জানি, যাকে তিনি তাওফীক দিবেন তাকে নিরাশ করার কেউ নেই। আর যাকে পথভ্রষ্ট করবেন, তাকে সুপথ দেখানোর কেউ নেই।